এক অধরা ঈশ্বরের খোঁজে

অনেক খারাপ সময় পার করেছি আমরা,  মাথা নিঁচু করে মাঠ ছেড়েছি বহুবার।  ২০০৩ বিশ্বকাপ’টাই সবচেয়ে বাজে টুর্নামেন্ট ছিলো আমাদের জন্যে। কানাডা,  কেনিয়া,  শ্রীলঙ্কার সাথে হেরে গ্রুপ পর্ব থেকেই বিদায়! তারপরেও স্বপ্ন দেখেছি,  মাঠে গিয়ে বাংলাদেশ’কে সমর্থন দিয়েছে মানুষ।  লাল – সবুজের  মাঝে গ্রামীনফোনের ফোনের সেই লোগো সম্বলিত জার্সি’র দিনগুলোই আমাদের স্বপ্ন পূরণের দিনের শুরু ছিলো। হারতে,  হারতে হঠাৎ একদিন জিতে যাওয়া বাংলাদেশ আজ নিয়মিতই জেতে। মাঝে পথ হারায় কিন্তু সাকিব,  মাশরাফি’রা আবার নতুন কোন পথে আলো হাতে হাজির হয়।

আজ এত বছর পরে এসে নস্টালজিক সেই অধরা স্বপ্নের সময়গুলো পেরিয়ে এসে যখন আফগানিস্তানের মত নবীন কোন দলের প্লেয়ারে মুখে শুনতে হয়, বাংলাদেশ’কে হারাতে তাদের আলাদা কোন প্ল্যানের দরকার হয়না তখন আপনার,  আমার,  আমাদের সামন্য একটু হলেও খারাপ অনুভব হয়। কিন্তু আবার মাঠেই আমরা তার জবাব দিয়ে দেই।

আমি জানি আমাদের ঘুরে দাঁড়ানোর সামর্থ্য আছে। আছে নিয়মিত  জয়ের সামর্থ্য’ও। যে নবীন দলটা একসময় ভারত, সাউথ আফ্রিকা’কে হারিছে তাদের অনেকেই এখন পরিণত। কেউ একটু সাহস করে হয়ে গেছেন বিশ্বসেরা। তাদের কাছে আমার, আমাদের আশা, চাওয়া ; আবার গর্জন হোক,  সেটা হোক আজ থেকেই। মিরপুরের যখন আপনারা মাঠে থাকেন তখন স্টেডিয়াম জকি মাঝেমধ্যে’ই বলে উঠে,  বাংলাদেশের জন্য একটা গর্জন শুনতে চাই। আমরাও গর্জে উঠি।

আপনারা এগারো না, খেলেন ছাব্বিশ হাজার এগারো। এবার নাহয় একটা গর্জন হোক আপনাদের সমর্থক’দের জন্য, আমাদের জন্য। এবার একটা গর্জন হোক আমাদের প্রবাসী ভাইদের জন্য যারা নিজেদের সব কাজ ফেলে মাঠে চলে আসে একটু গর্ব ছোঁয়ার আশায়,  একটুকরো বাংলাদেশের আশায়। এবার আবার গর্জন হোক পুরো বাংলাদেশের জন্য।

 

[লিখেছেনঃঃ মাহরুশ হাসান প্রত্যয়]  

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here